এ বছরের আনন্দ শোভাযাত্রা সবচেয়ে বড় এবং বৈচিত্রপূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শেষে চারুকলা অনুষদে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, এবার একটু ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নববর্ষ আয়োজন করা হয়েছে। এবার সরাসরি নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অনেক যৌক্তিক-অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনোরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়া শেষ করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেখানে তিনটি বিষয় উল্লেখ ছিল- প্রথমত, যত বেশি সংখক সাংস্কৃতিক এবং নৃতাত্তিক বৈচিত্র তুলে ধরা যায়। এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক নৃগোষ্ঠী, সমতল, পাহাড়ি এবং বাঙালি জাতিসত্তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিষয় ছিল আলাপ-আলোচনা করা। এবার আয়োজন করতে গিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। আমরা সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পেরেছি। তৃতীয়ত দৃষ্টিনন্দন করার কথা বলা হয়েছে। এবার সবচাইতে বর্ণাঢ্য বৈচিত্রপূর্ণ আয়োজন হয়েছে।’
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান আরও বলেন, ‘ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, এবারের শোভাযাত্রায় আমরা তা প্রতিফলিত করতে চেয়েছি। এবারের প্রতিপাদ্যে দুইটি বিষয় ছিল- প্রথমত, নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী সামাজিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার অবসানে জাতির উল্লাস এবং আনন্দ। আরেকটি ছিল- ঐক্য এবং সম্প্রীতির ডাক। এটি কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন প্রকাশ করে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন